চলন্ত গাড়ি থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছিল বহু দামি পণ্য সামগ্রী। দিনের বেলাতেই রাস্তা থেকে এই পণ্য হাফিস করছিল একটি চক্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে সমস্ত রাস্তায় গাড়ি কিছুটা ধীর গতিতে চলছে কিংবা যেখানে রাস্তাতে স্পিড ব্রেকার রয়েছে সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করতো চক্রের সদস্যরা। সেই পথে পন্য বোঝাই গাড়ি গেলে অতী কৌশলে নামিয়ে ফেলা হত সেই গাড়ি থেকে জিনিসপত্রের প্যাকেট। এভাবে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা হতেই অবশেষে ধরা পরল দুই দুস্কৃতী। একাধিক সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গেছে সিনেমায় কায়দায় চুরির দৃশ্য। গাড়ির পিছু নিয়ে সেখান থেকে জিনিসপত্রের ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিত চোর। এবার অভিযোগ জমা পড়তেই তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে ধরা পরল চোরেরা।
চলতি মাসের ৭ তারিখের একটি ঘটনা। জানা গিয়েছে, তাম্বাকু সহ আরও বেশ কিছু সামগ্রী নিয়ে বিভিন্ন দোকানে ডেলিভারী দিতে যাচ্ছিল একটি পিকআপ ভ্যান। শিলিগুড়ির প্রধান নগর এলাকা দিয়ে জিনিসপত্র গুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর সেই গাড়িরও পিছু নিয়েছিল দুই যুবক। স্কুটি নিয়ে অপেক্ষা করছিল তা ঘ্রুণাক্ষরেও টের পায়নি পিকআপ ভ্যান চালক। আর স্পিড ব্রেকারের সামনে গিয়ে পিকআপ ভ্যান চালক গাড়ি স্লো করতেই, ফায়দা লুফে নেয় চোরেরা। গাড়ি স্লো হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আস্তে করে সেখান থেকে একটি কার্টুন তুলে নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা। প্রধান নগর থানার এন্টি ক্রাইম উইং এর পুলিশ বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করে এবং তাদের খোঁজ শুরু করে।
অবশেষে অভিযুক্ত দুই যুবক মহম্মদ নুরজামাল ও হারাধন ঘোষকে গ্রেপ্তার করে। তারা দু’জনেই শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, চুরি করা জিনিস তারা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাপ্পা মান্নাকে বিক্রি করেছে। এরপরে পুলিশ তাকেও মাননাকেও গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..