শিলিগুড়িতে নিজের বাড়িতে বিছানায় শুয়ে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী এক অল্প বয়সী ব্যবসায়ী। এতে বিকট শব্দে কেঁপে উঠল বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট। চাঞ্চল্য বহুতল আবাসনে এবং শহরের ব্যবসায়ী মহলে।
নিজেই নিজেকে শেষ করে দিল ওই ব্যাবসায়ী।
কিন্তু কেন? এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। এমন কি এমন ঘটে গেল যে নিজেকে একেবারে শেষ করে দেওয়ার পথে হাঁটতে হল? তদন্তে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।
আত্মঘাতী ওই ব্যবসায়ীর নাম প্রতীক আগরওয়াল। শিলিগুড়ির সেবক রোডে তার একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের আপার ভানুনগর এলাকার একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্টে ঘটেছে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই অ্যাপার্টমেন্টেই বসবাস করত মৃত যুবক এবং তার পরিবার। বেশ স্বচ্ছল পরিবার তার। পাশাপাশি নিজেও খুব অল্প বয়সেই বড় একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছিল।তার ব্যবসাও চলছিল রমরমা। তবে এর মাঝেই এমন কি ঘটল, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। পুলিশ এই ঘটনায় ধন্দে রয়েছে। ভক্তিনগর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুরে গুলির বিকট শব্দ শুনে প্রথমে ওই আবাসনের মানুষজনেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারপর খোঁজখবর নিতেই সামনে আসে এই ঘটনা। এরপর খবর দেওয়া হয় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ভক্তিনগর থানার পুলিশের কাছে। খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে আসে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। এরপর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে।
সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর মৃতদেহ পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য।গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ভক্তিনগর থানার পুলিশ। পাশাপাশি যে পিস্তল দিয়ে ওই ব্যবসায়ী নিজের প্রাণ বিসর্জন দিলেন তা লাইসেন্স প্রাপ্ত ছিল নাকি ছিল না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই বহুতল অ্যাপার্টমেন্টে এবং ব্যবসায়ী মহলে। তবে কি কারণে ওই ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করল তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ওই আবাসনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সংবাদ মাধ্যমকে। মুখ খোলেননি তার পরিবারের লোকজন।
এ জাতীয় আরো খবর..