কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ ও মা'নসিক নি'র্যাতন সহ্য করতে না পেরে আ/ত্মহ/ত্যা করলেন এক মহিলা কমিউনিটি হেলথ অফিসার ( CHO )। এমনই অভিযোগ করে বি'ক্ষোভ দেখান অন্যান্য সিএইচও এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ঘটনা। ওই মহিলার নাম সুস্মিতা সামন্ত দাস। বয়স ৩৮ বছর। তার বাড়ি পাঁশকুড়াতে হলেও থাকতেন খড়্গপুর শহরের ইন্দা'য়। তিনি পাঁশকুড়ার মাগুরি জগন্নাথচক উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সিএইচও পদে কর্মরত ছিলেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার পাঁশকুড়ার শ্যামচক লেভেল ক্রসিং এলাকা থেকে মহিলার মৃ'তদে'হ উদ্ধার হয়। রেল পুলিশের অনুমান ট্রেনের ধা'ক্কায় ওই মহিলার মৃ/ত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, ঘটনার ছয় মাস আগে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মা'নসিক অ'ত্যাচা'রের লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ওই মহিলা সিএইচও। যদিও পরবর্তীকালে কর্তৃপক্ষ বসে বিষয়টা নিয়ে মিটমাট করে নেন। সেই ঘটনার পর থেকেই মা'নসিক ভাবে ভেঙে পড়েন ওই স্বাস্থ্যকর্মী। গতকাল ট্রেনে ঝাঁ/প দিয়ে আ/ত্মহ/ত্যা করেন বলে অভিযোগ।
বি'ক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রচুর কাজের চাপ বহন করতে হতো। সেন্টারে কর্মীর অভাবে, এই বিষয়টি তিনি বারবার অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা পাননি। আজ সকালে উত্তর মেছোগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে সিএইচও অর্থাৎ কমিউনিটি হেলথ অফিসার সুস্মিতার ছবিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পাশাপাশি এক মিনিট নীরবতা পালন করেন সহকর্মীরা। পাশাপাশি এই ঘটনার বিচার চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বি'ক্ষোভ দেখান তারা। বি'ক্ষোভের শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এটি খুব ম/র্মান্তি/ক ঘটনা। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওরকম কিছু অভিযোগ এনেছে কিনা জানা নেই। ওনার মা'নসিক চিকিৎসা চলার জন্য কখনও কাজের চাপ যাওয়া হয়নি। বরং কর্মক্ষেত্রে একাধিকবার ওই স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে গাফিলতিদের অভিযোগ উঠেছে। উনাকে হেল্প করার জন্য একজন এএনএম নার্সকে দেওয়া হয়েছিল। উনি হয়তো মেন্টাল ডি'প্রেশনে ছিলেন। গোটা বিষয়টা নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ জাতীয় আরো খবর..