প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজেশ করে স্বামীকে খাবারের মধ্যে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে স্ত্রী। এবার সেই গৃহবধূর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা শহরের ঘটনা।
অভিযুক্ত গৃহবধূ রয়েছে পুলিশের হেফাজতে। তার প্রেমিককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম পিন্টু ওরাওঁ ( ৪০ )। তিনি পূর্ত দপ্তরে চাকরি করতেন। তার বাড়ি কোচবিহারের বানেশ্বর এলাকায় হলেও কর্মসূত্রে মাথাভাঙা শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে।
এব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন, পিন্টু ওরাওঁ এর স্ত্রী বাপি ওরাওঁয়ের সঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলার বারোবিশা এলাকার বিনয় দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রায় দুই বছর থেকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ওই ঘটনা নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকতো। তাই পথের কাঁটা পিন্টুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রেমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করে। এরপর কয়েকদিন আগে প্রেমিক বিনয় বিষ এনে প্রেমিকাকে দিয়ে যায়। গত ১৪ আগস্ট রাতে খাবারের সবজির মধ্যে সেই বিষ মিশিয়ে দেয় বাপি ওরাওঁ। সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন পিন্টু। কিন্তু স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি স্ত্রী। পরের দিন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পিন্টুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমে মৃতের স্ত্রী বাপিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কথায় অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এরপরই ওই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মৃতের স্ত্রী খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি। তাকে মাথাভাঙ্গা আদালতে তোলার পর এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। এবার অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। সোমবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তাকেও পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।